আলমগীর কবীর:
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা সার্কিট হাউজের পাশে কালেক্টরেট হাইস্কুল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও সার্কিট হাউজের তৃতীয়তলা সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করা হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি,যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এম পি, গাজীপুর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য,ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি,গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার । গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম,গাজীপুর জেলা প্রশাসক, এসএম তরিকুল ইসলাম,গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিল আহমদ ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন সরদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অঞ্জন কুমার সরকার ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জাকির হাসান প্রমুখ ।
বক্তব্যকালে মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন,দেশ যখনই এগিয়ে যাচ্ছে তখন এ অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য বিশেষ একটি শ্রেণি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছে । যারা আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেননি এবং প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন,সেই অপশক্তিরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশকে পাকিস্তানের মতো অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ।
তিনি আরও বলেন,কুমিল্লায় মন্দিরে হামলার ব্যাপারে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ।ঘটনার পরপর কিছু লোক ধরা পড়েছে। আমরা আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে যারা জড়িত জাতি ও বিশ্ববাসী তাদের জানতে পারবে। আমরা আশা করছি এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিরা অচিরেই আইনের আওতায় আসবেন। তাদের কাছেই জাতি জানতে পারবে কারা বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ইন্ধনদাতা,মদদদাতা ও প্রশ্রয়দাতা। প্রকৃত দোষীরা অচিরেই চিহ্নিত হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন,এ হাসপাতালে চিকিৎসক,নার্স, জনবল ও অবকাঠামোর সংকট রয়েছে। তা কাটিয়ে ওঠতে পারলে অচিরেই জনগণ একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবা পাবে।